রূপগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের বেলদি এলাকায় ”অ্যানার্জি প্যাক” এর নামে শীতলক্ষ্যা নদী, হালট ও কৃষি জমি জবরদখল করে নিয়েছে স্থানীয় ভুমিদস্যুরা। বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম সরেজমিনে গিয়ে বালু ভরাট বন্ধসহ সরকারী জমি ও অবৈধ ভাবে জবরদখলে থাকা কৃষি জমি উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন।
এসময় সহকারী কমিশনার (ভুমি) আসাদুজ্জামানকে জমি উদ্ধারের পর নিশানা টানিয়ে দেয়ার জন্য বলেন। এসময় ভুক্তভোগী কৃষকসহ স্থানীয় এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনও জানান, নদী, হালট ও কৃষি জমি জবরদখল করে বালু ভরাটের বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক গুলো সংবাদ প্রকাশ করা হলে প্রশাসনের নজরে আসে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পান প্রশাসন। এরপর নকশা দেখে শীতলক্ষ্যা নদী, সরকারী হালট ও অবৈধ ভাবে জবরদখল করা কৃষি জমি উদ্ধারের নির্দেশ দেয়া হয় সহকারী (ভুমি) আসাদুজ্জামানকে। এর আগে, সংবাদ প্রকাশের পর অভিযুক্ত ২১ মামলার আসামী ও ভুমিদস্যু সুলতান আহাম্মেদকে গ্রেফতার করে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ। পরে তাকে একটি রাজনৈতিক মামলার ওয়ারেন্ট হিসেবে নারায়নগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় ভুমিদস্যু ও ছাত্রদল নেতা সুলতান, বিএনপি নেতা জামান, হাবিবুর, মোশারফ, হারুন, মফিজ, সিদ্দিকুরসহ একটি ভুমিদস্যু বাহিনী বেলদি শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় এলাকায় অ্যানার্জি প্যাক নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নামে কিছু অংশ জমি ক্রয় করেন। এরপর ক্রয়কৃত জমির পাশাপাশি স্থানীয় কৃষকদের জমি না কিনে জবরদখল করে অবৈধ ভাবে বালু ভরাট কার্যক্রম শুরু করে।
এছাড়া ভরাট করে ফেলেছে সরকারী হালট ও শীতলক্ষ্যা নদী। এ সরকারী হালট দিয়েই শীতলক্ষ্যা নদীতে যাতায়াত করতো এলাকাবাসী। জবরদখল করে বালু ভরাটের কারনে বেলদি এলাকার জনসাধারন এখন আর নদীতে যাতায়াত করতে পারছেনা। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এলাকাবাসীর। প্রতিবাদ করতে গিয়ে অনেকেই মামলা-হামলার শিকার হতে হয়।